বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার করিডোর চায় মেঘালয়

মোঃ মাসুদ রানা
প্রকাশঃ ৮ মার্চ ২০২৫, ৯:২৪ এএম

উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ জোরদারে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে একটি নতুন অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের প্রস্তাব করেছে মেঘালয় সরকার। হিলি-মাহেন্দ্রগঞ্জ আন্তঃসীমান্ত অর্থনৈতিক করিডোরের পাশাপাশি এই করিডোর নির্মাণ সম্ভব বলে মনে করছে মেঘালয় সরকার। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হিলি পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী শহর, আর মাহেন্দ্রগঞ্জ মেঘালয়ের গারো পাহাড়ি অঞ্চলের সীমান্তে অবস্থিত। ভারতের এই দুই শহরের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেছেন, প্রস্তাবিত ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডোর চালু হলে কলকাতা থেকে তুরা, বাঘমারা, ডালু ও ডাউকির মতো বাণিজ্যকেন্দ্রগুলোর দূরত্ব এবং পরিবহন ব্যয় ২৫ থেকে ৬০ শতাংশ কমে আসবে।
প্রস্তাবিত সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ভারতের জাতীয় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন করপোরেশন (এনএইচআইডিসিএল) ইতিমধ্যে রাস্তার অবস্থান মূল্যায়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারকে পাঠিয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
কনরাড সাংমা আরও বলেছেন, “বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে হিলি ও মাহেন্দ্রগঞ্জের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা গেলে মেঘালয়, আসামের বরাক উপত্যকা ও ত্রিপুরার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ৬০০-৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে। এটি হতে পারে একটি সমান্তরাল অর্থনৈতিক করিডোর। তবে কখন এটি বাস্তবায়িত হবে, তা বলা মুশকিল, কারণ এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারও জড়িত। ক্ষমতা পরিবর্তনের আগে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নয়া দিল্লি ঢাকার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে। আমি এই করিডোরের জন্য আবারও চাপ দেব।”
সাংমার প্রস্তাবিত এই করিডোরের দৈর্ঘ্য হবে ১০০ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি। এটি মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বন্দরশহর হিলিকে সংযুক্ত করবে। মহেন্দ্রগঞ্জ এবং হিলি—দুই শহরেরই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে। এই করিডোর নির্মাণ করা গেলে মহেন্দ্রগঞ্জের পাশাপাশি মেঘালয়ের তুরা, বাঘমারা, ডালু এবং ডাউকি জেলার সঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গের সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কনরাড সাংমা।
কফিপোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল অনুসরণ করুন।
© কফিপোস্ট ডট কম
অনলাইনে পড়তে স্ক্যান করুন