KOFIPOST

KOFIPOST

ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরায় পানি সরবরাহ বন্ধের দাবিতে আইনি নোটিশ

ডেস্ক রিপোর্ট
অ+
অ-
ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরায় পানি সরবরাহ বন্ধের দাবিতে আইনি নোটিশ

আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়া বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পানি সরবরাহ বন্ধের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং যৌথ নদী কমিশনের সদস্যকে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান বুধবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান।


নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ভারত সরকার ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহরে পানি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি নিয়মিতভাবে উত্তোলন করবে। তবে নোটিশে দাবি করা হয়েছে, এই সমঝোতা স্মারক আনুষ্ঠানিক চুক্তি নয় এবং এটি বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৫ ও ১৪৫-এ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। সংবিধান অনুযায়ী, বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি রাষ্ট্রপতির কাছে উত্থাপন করতে হবে এবং সংসদের বৈঠকে পেশ করতে হবে।


নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়াই বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে, যা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ভারতে পানি সরবরাহের বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছুই পাচ্ছে না, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চুক্তির মূল নীতি পরিপন্থী। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারত সরকারকে বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের শামিল।


আইনি নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়া বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পানি সরবরাহ বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া, ফেনী নদীর ওপর থেকে ভারতের সব পানির পাম্প অপসারণের দাবি করা হয়েছে। নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।


এই বিষয়ে আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, "বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়াই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এটি আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।"


এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার এবং ভারত সরকারের মধ্যে ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্যাগস:

ফেনী নদীআইনি নোটিশপানিচুক্তিফেনীচট্টগ্রাম

কফিপোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল অনুসরণ করুন।

© কফিপোস্ট ডট কম

অনলাইনে পড়তে স্ক্যান করুন