জাতিসংঘের প্রতিবেদন
জুলাইয়ে বিক্ষোভকারীদের খুব কাছ থেকে মাথা ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়

মোঃ মাসুদ রানা
প্রকাশঃ ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩:৩৫ পিএম

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইচসিএইচআর) কার্যালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জুলাই মাসের বিক্ষোভকালে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কিছু ক্ষেত্রে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোম সংবিধির ৭নং অনুচ্ছেদের আলোকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এছাড়াও, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের মাথা ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, যা আত্মরক্ষা বা অন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই সংঘটিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জুলাই মাসের বিক্ষোভের সময় বাংলাদেশে বিক্ষোভকারী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক ও পদ্ধতিগত আক্রমণ চালানো হয়েছে। এতে হত্যা, নির্যাতন, কারারুদ্ধতা ও অন্যান্য অমানবিক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল। জাতিসংঘের মতে, এসব অপরাধ রাষ্ট্রীয় নীতি অনুসরণে সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
ওএইচসিএইচআর-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনের সময় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা, নির্যাতন ও কারাদণ্ডের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও, নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিক্ষোভকে সহিংস ও বেআইনিভাবে দমন করার জন্য আক্রমণ পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, অপরাধ গোপন করতে ইন্টারনেট বন্ধ করা, মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া এবং মিডিয়া, ভুক্তভোগী, ভুক্তভোগীর পরিবার ও আইনজীবীদের ভয় দেখানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
কফিপোস্টের সর্বশেষ খবর পেতে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল অনুসরণ করুন।
© কফিপোস্ট ডট কম
অনলাইনে পড়তে স্ক্যান করুন